আমাদের মধ্যে অনেক অভিভাবকগণ মনে করেন যে সকল ছাত্র/ছাত্রী মেধাবী তারা পড়া খুব দ্রুত মনে রাখতে পারে। আর যারা মেধাবী নয় তাদের লেখা-পড়ার মান তেমন ভালো হয় না। তারা কোনমতে টেনেটুনে পাশ করে যেতে পারলেই হলো।
কিন্তু এই ধারণাটা কিছু অংশে ঠিক তবে বেশিরভাগ অর্থেই ভুল। কেননা যে ছাত্র/ছাত্রী স্বাভাবিকভাবে ও শারিরিকভাবে সুস্থ থাকে তাদের পড়া-লেখা ভালো করা বা না করার পিছনে কিছু চিন্তা-ভাবনা, সেই চিন্তা থেকে আসা অনুভূতি বা আগ্রহ এবং চর্চার পার্থক্য থাকে। আর তেমন মিরাকল বা অকল্পনীয় বিষয়গুলো ঘটে লাখের মধ্যে একটি এবং এ ধরনের বিষয়গুলো আমাদের প্রেরণার উৎস।
যাইহোক উপরের কথাগুলো আলোচনার উদ্দেশ্য হলো
প্রথমত, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের উচিত এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসা যে- শিক্ষার্থীদের মেধা ভালো না হলে পড়া মনে থাকবে না, সে লেখা-পড়ায় ভালো কিছু করতে পারবে না। আর এই ধারণাটি কিন্তু একদিনে জন্ম হয়নি, আমাদের পূর্বের অভিভাবকগণ এরকম কথা বলতো, তবে দুঃখের বিষয় হলো কিছু শিক্ষক রয়েছেন যাদের ধারণাও এরকম। তাই এই ধারণা ভাঙ্গাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের উৎসাহ দিয়ে যাবেন এবং এতে হতাশ হবেন না। আর শিক্ষার্থী যারা রয়েছে তারা নিয়মিত নিজেই নিজেদের বলবে আমি নিয়মিত চর্চা করলেই পড়া-লেখা মনে রাখতে পারবো, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
দ্বিতীয়ত, পড়া-লেখার বিষয়টি নিজেদের মাঝে আনন্দদায়ক করে তোলা। আমরা এ বিষয়ে বেশ পিছিয়ে। আমাদের পড়া-লেখার কৌশলগত ভুলের কারণে আজ অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী তারা তাদের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে না। তাই শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা গণকে পড়াটাকে মজার বানিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয়ত, হাইলাইট করে বা পয়েন্ট করে শেখা। অনেক বিষয় রয়েছে বুঝতে সহজ, আর অনেক বিষয় রয়েছে বোঝাটা একটু জটিল প্রকৃতির। যেমনঃ তথ্য সম্বলিত, সংখ্যা সংক্রান্ত বিষয়। যা গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান, বাংলা ও ইংরেজিতে থাকে। সেই অনুশীলনী বা পাঠগুলোকে একটু সাজিয়ে নোট করে পড়লে খুব ভালোমতোই বেঝা সম্ভব। আর বুঝে পড়ার উপকারীতা হলো- রিভিশন দিতে কষ্ট কম হয়।
চতুর্থ, বিষয়গুলো ছন্দ, ছবি, আর বিভিন্ন ঘটনার সাথে মিলিয়ে পড়ার চেষ্টা করা। মাঝে মধ্যে আনুসাঙ্গিক বিষয়ে কোন ভিডিও বা ছবি দেখে সেটা বোঝা। আর বর্তমানে ইউটিউবে প্রচুর পরিমানে বিষয়ভিত্তিক কন্টেন্ট নিয়ে ভিডিও রয়েছে। বইয়ের মধ্যে কোন এক্সপেরিমেন্ট থাকলে তা করে ফেলা এবং সেটা ভিডিও করে রাখা। বর্তমান তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে এমন সব মাধ্যম ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে যা সত্যিকার অর্থে অতুলনীয়। তাই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শিখে তার প্রয়োগ ঘটালে এর সুফল সবাই ভোগ করতে পারবে।
পঞ্চম, পড়া শেয়ার করা, মাঝে মধ্যে শিক্ষকের সামনে বা বন্ধুদের সামনে তা উপস্থাপন করা। এতে নিজের মধ্যে আত্নবিশ্বাস দৃঢ় হয় আর বিষয়টি দীর্ঘ দিন যাবৎ মনে থাকে। আর উপস্থাপনার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকগণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে পারেন এতে শিক্ষার্থীরা বেশি অনুপ্রাণিত হবে।
টিউটর অ্যাসাইন.কম আপনার সন্তানের জন্য অভিজ্ঞ হোম টিউটর খোঁজ করার বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম। আপনার সন্তানদের জন্য অভিজ্ঞ গৃহশিক্ষক শিক্ষক/শিক্ষিকা নিয়োগদানে টিউটর অ্যাসাইন কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ।
আমাদের সু-কৌশলী ও অভিজ্ঞ শিক্ষকগণের মাধ্যমে আপনার সন্তাদের পড়া মনে রাখার উপরের টিপসগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন এবং আপনি যদি অভিভাবক হন তবে আপনার সন্তানকে বিষয়গুলো পড়ে শোনান ও উৎসাহ প্রদান করুন।
Content published by: